শবে বরাত-এর বিভিন্ন দৃষ্টিতে বিভিন্ন নাম ও কারণ
ক. কুরআন শরীফ -এর সূরা দুখান-এ ৩নং আয়াত শরীফ-এর দৃষ্টিতে: শবে বরাত হচ্ছে লাইলাতুম মুবারকাহ তথা বরকতপূর্ণ রজনী।
খ. ছহীহ হাদীছ শরীফ-এর ভাষায় : শবে বরাত হচ্ছে লাইলাতুন নিছফি মিন শাবান তথা অর্ধ শাবান মাসের রজনী অর্থাৎ ১৪ তারিখ দিবাগত রাত্রি তথা ১৫ তারিখের রাত্রি।
গ. ছহীহ হাদীছ শরীফ, তাফসীর, ফিক্বহ, ফতওয়া ও তারীখের কিতাবের বর্ণনা অনুযায়ী শবে বরাতের অসংখ্য নাম রয়েছে।
তন্মধ্যে কিছু উল্লেখ করা হলো-
(১) আল্লাইলাতুল মুবারকাতু, বরকতময় রজনী।
(২) লাইলাতুন্ নিছফি মিন শাবানা, অর্ধ শাবানের রজনী।
(৩) লাইলাতুল ক্বিস্মাতি, ভাগ্য রজনী।
(৪) লাইলাতুত্ তাকফীরি, গুনাহ্খতা ক্ষমা বা কাফ্ফারার রাত্রি।
(৫) লাইলাতুল ইজাবাতি, দোয়া কবুলের রাত্রি।
(৬) লাইলাতুল হায়াতি, হায়াত বা আয়ু বৃদ্ধির রাত্রি।
(৭) লাইলাতু ঈদিল্ মালায়িকাতি, ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের ঈদের রাত্রি।
(৮) লাইলাতুল বারাআতি, মুক্তির রাত্রি বা ভাগ্য নির্ধারণের রাত।
(৯) লাইলাতুত্ তাজবীযি, বিধান সাব্যস্ত করার রাত্রি।
(১০) লাইলাতুল ফায়সালাতি, সিদ্ধান্ত নেয়ার রাত্রি।
(১১) লাইলাতুছ্ ছক্কি, ক্ষমা স্বীকৃতি দানের রাত্রি।
(১২) লাইলাতুল জায়িযাতি, মহা পুরস্কারের রাত্রি।
(১৩) লাইলার্তু রুজহানি, পরিপূর্ণ প্রতিদানের রাত্রি।
(১৪) লাইলাত্ত্ ুতাযীমি, সম্মান হাছিলের রাত্রি।
(১৫) লাইলাতুত্ তাক্বদীরি, তক্বদীর নির্ধারণের রাত্রি বা ভাগ্য নির্ধারণের রাত।
(১৬) লাইলাতুল গুফরানি, ক্ষমাপ্রাপ্তির রাত্রি।
(১৭) লাইলাতুল ইত্ক্বি মিনান্ নীরানি, জাহান্নামের আগুন থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার রাত্রি।
(১৮) লাইলাতুল আফবি, অতিশয় ক্ষমা লাভের রাত্রি।
(১৯) লাইলাতুল কারামি, অনুগ্রহ হাছিলের রাত্রি।
(২০) লাইলাতুত্ তাওবাতি, তওবা কবুলের রাত্রি।
(২১) লাইলাতুন্ নাদামি, কৃত গুনাহ স্মরণে লজ্জিত হওয়ার রাত্রি।
(২২) লাইলাতুয্ যিকরি, যিকির-আযকার করার রাত্রি।
(২৩) লাইলাতুছ্ ছলাতি, নামায আদায়ের রাত্রি।
(২৪) লাইলাতুছ্ ছদাক্বাতি, দানের রাত্রি।
(২৫) লাইলাতুল খইরাতি, নেক কাজ সম্পাদনের রাত্রি।
(২৬) লাইলাতু ইনযালির রহ্মাতি, রহমত নাযিলের রাত্রি।
(২৭) লাইলাতু ছলাতিন ওয়া সালামিন আলা সাইয়্যিদিল মুরসালীনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার প্রতি ছলাত ও সালাম পাঠের রাত্রি ইত্যাদি।
এছাড়াও শবে বরাতের আরো অনেক নাম রয়েছে। যা এখানে উল্লেখ করা সম্ভব হয়নি।
দলীল: কুরআন শরীফ-এর সূরা দুখান, তিরমিযী শরীফ, ইবনু মাজাহ, আবূ দাউদ শরীফ, তাফসীরে তাবারী, দুররে মানছূর, খাযিন, বাগবী, মাযাহারী, জালালাইন, বাইযাবী, কাশশাফ, রূহুল বয়ান, রূহুল মায়ানী, কুরতুবী, কবীর, তারীখে ইবনে হিশাম, ইবনে সাদ, ইবনে আসাকির ইত্যাদি।