বান্দা-বান্দীকে মুক্তি ও নাজাত দানের জন্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি অনেক রাত্রিকে ফযীলতপূর্ণ ও মর্যাদা সম্পন্ন করেছেন। ওই সকল বরকতময় রজনীসমূহে সারারাত সজাগ থেকে ইবাদত-বন্দেগী করার জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নির্দেশ প্রদান করেছেন।
মহান আল্লাহ পাক উনার অসীম দয়া ও ইহসানে এ বছর সেই বরকতময় দোয়া কবুলের রাত আবারো ফিরে এসেছে। এ বরকতময় লাইলাতুল বরাত মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে কোটি কোটি মানুষকে মুক্তি ও নাজাত দানের রাত্র। এ বছরের জন্য আগামী ১৪ শা’বান শরীফ, মাগরিব হতে শুরু হবে সেই মহাপবিত্র ভাগ্যরজনী; যা পবিত্র লাইলাতুল বরাত নামে মশহুর।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বর্ণনা মুতাবিক মহান আল্লাহ পাক তিনি উক্ত রাত্রিতে উনার সমস্ত রহমতের দরজা খুলে দিয়ে বান্দা-বান্দীকে ডেকে বলেন- তোমাদের মধ্যে কোনো ক্ষমাপ্রার্থী আছো কী? যাকে ক্ষমা করা হবে, কোনো রিযিকপ্রার্থী আছো কী? যাকে রিযিক দেয়া হবে, কোনো মুছিবত থেকে মুক্তি তলবকারী আছো কী? যার মুছিবত দূর করা হবে, কোনো তওবাকারী আছো কী? যার তওবা কুবল করা হবে, কোনো প্রার্থনাকারী আছো যার প্রার্থনা কবুল করা হবে, বাদ মাগরিব থেকে ছুবহি ছাদিক পর্যন্ত মহান আল্লাহ পাক তিনি এভাবে ঘোষণা করতে থাকেন।
সুতরাং সরকারের উচিত সকল মানুষ যেন উক্ত মুবারক রাতে সঠিকভাবে ইবাদত-বন্দেগী করতে পারে তার ব্যবস্থাকল্পে কমপক্ষে ৩ দিন ছুটির ব্যবস্থা করা।