আফসুস! ওইসব ব্যক্তির জন্য, যারা ‘পবিত্র লাইলাতুল বরাত’ পাওয়ার পরও এ রাতে তওবা, ইস্তিগফার, ইবাদত-বন্দেগী হতে গাফিল থাকে

“হাশরের দিনে বান্দার হিসাব-নিকাশ গ্রহণের পর দেখা যাবে, কতক উম্মতে হাবীবী তাদের উপর জাহান্নামের ফায়ছালা হয়ে গেছে। তখন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা তাদেরকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যেতে থাকবেন এবং পথিমধ্যে জিজ্ঞাসা করবেন, হে ব্যক্তিরা! তোমাদের দেখে মনে হচ্ছে তোমরা উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তোমরা কেন জাহান্নামে যাচ্ছ? কারণ তোমাদের যিনি নবী তিনি হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। উনাকে সৃষ্টি না করলে মহান আল্লাহ পাক তিনি কায়িনাতের কোনো কিছুই সৃষ্টি করতেন না। উনার মাক্বাম মহান আল্লাহ পাক উনার পরই এবং সমস্ত সৃষ্টির উপর। সুবহানাল্লাহ!

আর তোমরা উনার উম্মত। তোমাদের তো জাহান্নামে যাওয়ার কথা নয়। কারণ তোমাদেরকে তোমাদের নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উসীলায় এমন পাঁচটি রাত্রি দেয়া হয়েছে যেই রাত্রিগুলো রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাতের খাছ রাত্রি। তোমরা কী সেই পাঁচ রাত্রির সুসংবাদ পাওনি? তারা বলবে, হ্যাঁ, আমরা সেই রাত্রিগুলোর সুসংবাদ পেয়েছি সত্যিই এবং যাঁরা নায়িবে নবী, হক্কানী-রব্বানী আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা এই রাত্রির ফাযায়িল-ফযীলতের কথা আমাদের কাছে বলেছেন। কিন্তু আমরা শোনার পরও, জানার পরও তাতে ইবাদত-বন্দেগী করিনি, ক্ষমা প্রার্থনা করিনি, রাত্রিগুলোর কোনো গুরুত্বই আমরা দেইনি। নাউযুবিল্লাহ!

তখন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা বলবেন, তোমাদের জন্য আফসুস! তোমরা যদি সেই পাঁচ রাত্রিতে জেগে ইবাদত-বন্দেগী করতে তাহলে আজকে জাহান্নামে না গিয়ে জান্নাতে চলে যেতে। সুবহানাল্লাহ!

স্মরণীয়, যারা বদ আক্বীদায় বিশ্বাসী অর্থাৎ ওহাবী, খারিজী, দেওবন্দী, তাবলীগী, মওদুদী ইত্যাদি বাতিল ফিরক্বার লোক; তারা এই পবিত্র, সম্মানিত, ফযীলতপূর্ণ পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ উনার রাত্রিতে মুসলমানগণকে ইবাদত-বন্দেগী থেকে ফিরিয়ে রেখে জাহান্নামী করতে চায়। কাজেই এই সমস্ত বাতিল ফিরক্বার মিথ্যা, দলীলবিহীন বক্তব্য, বানোয়াটি, ধোঁকা ও ষড়যন্ত্র থেকে মুসলমানগণের ঈমান-আমল হিফাযত করা ফরয-ওয়াজিব।