পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনার আলোকে পবিত্র লাইলাতুল বরাত

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, 
“নিশ্চয়ই আমি বরকতময় রজনীতে তথা লাইলাতুল বরাতে পবিত্র কুরআন শরীফ নাযিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর আমিই ভয় প্রদর্শনকারী। উক্ত রাত্রিতে আমার পক্ষ থেকে সমস্ত প্রজ্ঞাময় কাজগুলো ফায়ছালা করা হয়। আর নিশ্চয়ই আমিই প্রেরণকারী।” (পবিত্র সূরা দুখান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩-৫) 

আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। 
তিনি বলেন, আমি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে কোনো এক রাতে রাত্রি যাপন করছিলাম। এক সময় উনাকে বিছানা মুবারক-এ না পেয়ে আমি মনে করলাম যে, তিনি হয়তো অন্য কোনো পবিত্র হুজরা শরীফ উনার মাঝে তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন। অতঃপর আমি তালাশ করে উনাকে পবিত্র জান্নাতুল বাক্বী শরীফে পেলাম। সেখানে তিনি উম্মতের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছেন। এ অবস্থা দেখে আমি স্বীয় পবিত্র হুজরা শরীফ উনার মাঝে ফিরে আসলে তিনিও ফিরে এসে আমাকে বললেন, আপনি কী মনে করেছেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আপনার সাথে ব্যতিক্রম ব্যবহার করবেন? আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি ধারণা করেছিলাম যে, আপনি হয়তো অপর কোনো পবিত্র হুজরা শরীফ উনার মাঝে তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন। অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র শা’বান শরীফ উনার পনের তারিখ রাত্রিতে পৃথিবীর আকাশে অবতরণ করেন, অর্থাৎ খাছ রহমত নাযিল করেন। অতঃপর তিনি বনী ক্বালবের মেষের গায়ে যত পশম রয়েছে তার চেয়ে অধিক সংখ্যক বান্দা-বান্দী বা উম্মতকে ক্ষমা করে থাকেন।” 

(তিরমিযী শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ, রযীন)